sulphur homeopathic medicine

পরিচয়:
একটি হলুদ রংগের খনিজ পদার্থ যার মাধ্যমে বিভিন্ন প্রকারের এসিড ফসফরিক, নাইট্রিক এসিড, সালফরিক এসিড, এবং বিভিন্ন প্রকার সার ঔষধ বোমা ও রাসায়নিক দ্রব্য তৈরী হয়।

মায়াজম: সালফার একটি অত্যন্ত গভীর এন্টিসোরিক, এন্টিসাইকোটিক, এন্টিসিফিলিটিক ও গভীর এন্টিটিউবারকুলার ঔষধ।

ক্রিয়াস্থল: চর্ম, চর্মগ্রন্থি, ঝিল্লি, স্নায়ুমন্ডলী, শ্বাস – যন্ত্র, পাকাশয়।

আবিষ্কার: মহত্ন্যা হ্যানিম্যান।

প্রয়োগস্থল: চর্মরোগ, হাম.বসন্ত,পাঁচড়া,বয়োঃব্রণ, ফোঁড়া, আঁচিল, আমবাত, গ্রন্থির স্ফীতি, উম্মত্ততা, হিস্টিরিয়া, হৃদরোগ, হাইড্রোকেফালস (মস্তিষ্কে জলসঞ্চয়-এপিস), হাইড্রোকোফালয়েড, সর্দ্দি-কাশি, যক্ষ্মা, ব্রংকাইটিস, নিউমোনিয়া, ডিপথেরিয়া, চক্ষুরোগ আলোকাতঙ্ক, কর্ণ রোগ স্বপ্নদোষ (কোমর ব্যাথা) নাক্স.ক্যাল্ক, পুরাতন প্রমেহঃসাদা রংগের ধাতুনির্গমন, প্রদর, প্লুরিসি, ম্যারাসমাস / শীর্ণতা রোগ, মাথাঘুরা (দাড়াইলে.বসিলে), মাথাব্যথা - প্রাতঃকালীন ডানদিকে, মৃগী (হস্থমৈথুন হেতু-অমাবস্যায় বৃদ্ধি) মূত্রাবরোদ, শয্যামূত্র, মূত্রে সুগার, এলবুমিন, স্তন প্রদাহ, বোবায় ধরা, ঋতুস্রাব, উদরাময় (ভোরের দিকে.কাপড় নষ্ট হয়) বাত/সায়েটিকা - রাত্রে রক্তস্রাব, কোষ্ঠবদ্ধ (২-৩ দিন পর টয়লেটে যায়।) অম্ল ও অজীর্ণ, বুকজ্বালা, অর্শ (মলদ্বার জ্বালা, চুলকানী) উদরাময় (প্রাতঃকালীন-ব্রায়ো, এলো, পডো) লিভার সিরোসিস, পিত্তপাথরী, পুরাতন আমাশয় (ফেনা ফেনা, আম বা রক্ত মিশ্রিত পরিবর্তনশীল।) সর্বপ্রকার জ্বর ইত্যাদি।

অনূভুতি: জ্বালা, কুটকুট করা, সূচ-ফোটানো/হুল-ফোটানো। (লিভার) রতি সুখ (চর্মরোগে)।

বিশেষ লক্ষণ পাঁচটি:

  • শারীরিক ও মানসিক অপরিচ্ছন্নতা।
  • প্রাতকালে মলত্যাগ (N.S) ও মধ্যাহ্নে ক্ষুধা।
  • গোসলে অনিচ্ছা (বিশেষতঃ শীত কালে) দুগ্ধে অরুচি।
  • মাথার তালু , হাতের তালু, পায়ের তলায় উত্তাপ বা জ্বালা।
  • ঠান্ডায় আরাম (শীত অসহ্য) গরমে বৃদ্ধি।

সালফারের রোগী প্রত্যহ প্রাতঃকালে মলত্যাগ করে. মলত্যগের বেগে ঘুম ভেঙ্গে যায়। আর "নেট্রাম সালফ"ঘুম থেকে উঠে মল ত্যাগ করে।

চরিত্রগত লক্ষণ:

  • পায়ের তলা জ্বালার জন্য পা বিছানার বাহিরে রাখিতে হয়।
  • উত্তম রুপে ধৌত করা সত্বেও শরীরের দুর্গন্ধ দূর হয়না। -(সোরিন)
  • উঁচু বালিশে কপালে হাত না রাখিয়া ঘুমাতে পারেনা।
  • ঠোঁট রক্ত বর্ণ (বেল, ল্যাকে, টিউবার)
  • হাত - পা সরু সরুড় পেটটি বড়।
  • কোল-কোজো,সম্মুখ ঝুঁকে চলে।
  • দিবাভাগে নিদ্রা আর রাত্রে নিদ্রা না হইয়া আচ্ছন্নভাব ও তন্দ্রা।
  • সকল স্থানের স্রাবই হাজা কর , অত্যন্ত দুর্গন্ধ (টকগন্ধ) স্রাব দ্বার লাল বর্ণ হয়।
  • মুখ গলা শুস্ক ক্রমাগত ঢোক গিলে।
  • জিহ্বার মধ্য ভাগ সাদা, ধার গুলো ও ডগা লাল।
  • দুর্গন্ধ মল,ঘর্ম বা স্রাব -টক বা অম্লগন্ধ যুক্ত
  • রাত্রি দ্বিপ্রহরের পর রোগের বৃদ্ধি, বেলা ১১টায় উদরের মাঝে খালি বোধ ও জ্বালা।
  • পায়ের ডিম এবং পায়ের তলায় জ্বালা ও খিল ধরা।
  • সর্বগ্রাসী ক্ষুধা: কিন্তু দু-একগ্রাস আহার করিবার মাত্রই মনেহয় পেট পূর্ণ হয়ে গিয়েছে ,আর আহারে ইচ্ছা হয়না।
  • আহার কম পান অধিক।
  • যে কোনো পীড়ায় খাওয়ার জন্য ঘ্যানঘ্যান করে, মুখে খাওয়া লাগাইয়া রাখে।
  • বাহ্যে পাইলে আর এক মিনিট ও বিলম্ব সহ্য হয়না; তৎক্ষণাৎ টয়লেটে ছুটিতে হয়, না হয় কাপড় নষ্ট হয়।
  • পায়খানা করতে করতে ঘুমিয়ে পড়ে।
  • খাইতে খাইতে পায়খানা করে।
  • অত্যন্ত ক্ষুধা কেবল খাই খাই করে।
  • পায়খানা করার পরেই কিছু খাওয়া চাই।
  • মলে কেবল মাত্র পুঁজ, ময়লার গন্ধ থাকেনা।
  • অনেক রোগ ঘন ঘন পূনঃ প্রকাশিত হয়।
  • রোগীর কথা কেউ না শুনলে ঝগড়া শুরু করে দেয়।

মানসিক লক্ষণ:

  • খিটখিটে
  • একগুঁয়ে
  • সামান্যেই ক্রোধ পরক্ষণে অনুতপ্ত।
  • সামান্য জিনিষের তারিফ করে।
  • কিছুই ভালোলাগেনা আনন্দ পায়না।
  • সন্ধ্যার সময় বিষাদ বিষন্নতা
  • গুছাইয়া রাখতে জানেনা।
  • নোংরা অথচ নিজেকে মহাজ্ঞানি মনেকরে
  • স্বার্থপর
  • পরের দোষ খোজে
  • দ্রুতগতিশীল. {অরাম,আর্জনাই,}
  • তীক্ষ্ণ বুদ্ধি
  • ব্যস্ত
  • নাম ভুলেযায়।
  • সর্বদাই খুটিনাটি লইয়া বকাবকি। তার যন্ত্রনায় বাড়ির মানুষ অস্থির্।
  • সামান্য বস্তুকে অনেক কিছু মনে করে, ছেড়া নেকটা বা কাগজ মাথায় দিয়ে বলে আমি রাজা, বাদশা বা রাণী, সমস্ত বস্তুকেই সুন্দর দেখে।
  • স্বার্থপর,ভীরু অলস কোনো নিয়ম মেনে চলতে পারে না।
  • রোগী দুর্গন্ধ শুকে দেখে, ময়লা খুটে। নাকের ময়লা বের করে মুখে দেয়। সালফারের পর সোরিনাম ভাল কাজ করে।


মন: চিন্তা করা কষ্টসাধ্য। ছিন্ন ভিন্ন বস্তুকে সুন্দর বস্তু বলিয়া মনে হয়, অত্যান্ত স্বার্থপর, সে মনে করে যে সে অপরিমিত ভাবে ধনি বেক্তি। অপরের জন্য কোন প্রকার সম্মান বা বিবেচনা নাই। কোন কাজে মন নেই; অলসতার সহিত কাল অতিবাহিত করে। 

জ্বালা: হাতের তালু, পায়ের তলা এবং ব্রক্ষতালু অত্যন্ত উত্তপ্ত, বাতাস চাহে এবং ঠান্ডা মেঝের উপর শুইয়া থাকে, ঠোঁট এবং জিহবার অগ্রভাগ রক্তবর্ণ। চর্মরোগের ইতিহাস। ঘুম ভাঙ্গিলেই মলত্যাগের বেগ; কুজ দেহ, অপরিষ্কার-অপরিচ্ছন্ন।

জ্বর: বেলা ১০/১১ টা হইতে জ্বর বৃদ্ধি পায় হাতের তালু, পায়ের তলা ও ব্রক্ষতালু অত্যন্ত গরম, রোগী ঠান্ডা মেঝেতে শুইয়া থাকিতে ভালভাসে।

ফোড়া: অপরিষ্কার-অপরিচ্ছন্ন স্বাভাবের লোক। একসঙ্গে অনেক ফোড়া উঠে।

আমাশয়: কোন চর্ম্মরোগ বাধাপ্রাপ্ত হইয়া আমাশয়, অথবা যাহারা অত্যন্ত অপরিষ্কার-অপরিচ্ছন্ন তাহাদের আমাশয়ে ইহা অদ্ধিতীয় ঔষধ, ভোরবেলায় রোগের বৃদ্ধি, মলত্যাগের পরেও শান্তিলাভ ঘটে না; পিপাসা আছে। ঠোঁট রক্তবর্ণ।

হাত-পা সরু, পেটটি বড়: ছেলেমেয়েরা খোব খাইতে পারে, কিন্তু যেমন খায় তেমনি হজম করিতে পারে না, ফলে দেহের পুষ্টিসাধন না হইয়া পেটটি বড় দেখায়। আবার বেশ হৃষ্ট-পুষ্ট ছেলে যে সালফর হইতে পারে না এমন নহে। খাদ্য খায় কম কিন্তু জল খায় বেশি।

দুগ্ধে অরুচি: দুধ খাইতে চাহে না, খাইলে সহ্যও হয় না। মাংসেও অরুচি, মিষ্টি খাইতে ভালবাসে, কিন্তু অনেক সময় তাহাতে অনিচ্ছা বা তাহা অসহ্য হইতেও দেখা যায়। ঝাল, উগ্রদ্রব্য এবং মাদক-দ্রব্য খাইতে ভালবাসে। মাছ, ডিম ও মাংসে অনিচ্ছা।

ম্যালেরিয়া জ্বর: শীত অবস্থায় পিপাসা থাকে না, উত্তাপ অবস্থায় নিদারুণ গাত্রতাপের সহিত রোগী অচেতন হইয়া পড়ে, বমি, উদরাময়, পিপাসা। শীত অবস্থায় জননেন্দ্রিয় বরফের মত শীতল।

সর্দ্দি কাশি: পুরাতন সর্দ্দি-কাশির সহিত স্বরভঙ্গ, গলাভাঙ্গা, গলাধরা, অনবরত কাশি, নাসিকা দিয়ে রক্ত পড়ে, নাসিকা ফোলে, নাসিকার মধ্যে শুষ্ক পিচুটি বা মামডি  পড়ে, নাসিকার ডগা হাজিয়া লালবর্ণ হয়।

ব্রঙ্কাইটীই বা শ্বাসনালীর প্রদাহ: এই পীড়ায় একটু পুরাতন অবস্থায় পূঁযের মত গয়ার উঠে, ফুসফুসে প্রচুর পরিমাণে শ্লেম্মা জমে, রোগী অত্যন্ত কাশে, কখনো কাশিতে কাশিতে বমি করিয়া ফেলে, কাশি শুইলেই বৃদ্ধি হয়।

চর্ম্মপীড়া: রোগী দেখিতে অত্যন্ত অপরিষ্কার ও কদাকার। হাত, মুখ, বাহুতে গর্মি গোটার ন্যায় ছোট ছোট ফোঁড়া হয় এবং খোসের মত ঘা হয়। ইহা ছাড়া কুঁচকী, স্তন, গ্রীবা বগল এবং ঘাড় যেখানে চামড়ার ভাঁজ থাকে, খোসপাঁচড়া, চুলকানি, একজিমা, কাউর, দাদ অত্যান্ত চুলকানি, চুলকাইবার সময় রতি ক্রিয়ার মত সুখঅনুভব এবং পরে ভয়ানক জ্বালা হয়। রাত্রিকালে ও স্নানে বৃদ্ধি প্রাপ্ত হয়।  

চক্ষুর পীড়: প্রান্তদেশের ক্ষতবস্থা এবং তাহাতে জ্বালা। চক্ষুর মধ্যে তাপ এবং জ্বালাবোধ। (আর্সেনিক ও বেলেডোনা) চক্ষুর সমনে কালো কালো দাগ। পুরাতন চক্ষুপ্রদাহ, তাহার সাথে অত্যান্ত জ্বালা এবং চুলকানি।

কর্ণের পীড়া: কানের মধ্যে ঝাঁই ঝাঁই শব্দ। কোন ঔষধ প্রয়োগের পলে কান পাকা চাপা পড়িয়া যাওয়ার কুফল। বধিরতা, ইহার পূর্বে শ্রবণশক্তির অত্যধিক প্রাখর।

নাসিকার পীড়: ঘরের মধ্যে থাকিলে নাসিকা বন্ধ থাকে। কাল্পনিক দুরগন্ধ। পুরাতন শুষ্ক সর্দ্দি, শুষ্ক মামড়ী এবং ইহা হইতে সহজেই রক্ত বাহির হয়।

তলপেট: তলপেট চাপদিলে যথেষ্ট বেদনা অনুভূত হয়; অভ্যন্তরে মনে হয় যেন কাঁচাভাব এবং টাটানি-ব্যথা। পেটের মধ্যে যেন জীবন্ত কিছু নড়াচড়া করিতেছে।

অর্শ: মলদ্ধার চুলকায় এবং জ্বালা করে; তলপেটে রক্তাধিক্য হেতু অর্শ। পুনঃপুনঃ মলত্যাগের বেগ হয় কিন্তু নিষ্ফল; মল কঠিন, শিশু মল ত্যাগ করিতে ভয় পায়, বেদনা হইবে বলিয়া। মলদ্ধারের চারদিক লাল বর্ণ; তাহার সথে চুলকানি। সকালবেলায় উদরাময়, বেদনাহীন, মলত্যাগ করার জন্য রুগীকে বিছনা হইতে উঠিয়া ছুটিতে হয়।

প্রমেহ: স্রাব পূঁজের ন্যায় হোক বা জলের মত হোক প্রমেহের সহিত যদি মুত্রত্যাগ কালে যন্ত্রনা  থাকে। প্রমেহের প্রথম এই ঔষধ এতবেশি উপকারী নহে।

পুঃজননেন্দ্রিয়: লিঙ্গে সুই পোটানো যন্ত্রনা। শয্যা প্রহন করিলে লিঙ্গ চুলকাইতে থাকে। লিঙ্গ শীতল, শিথিল এবং যোন দুর্বলতা। আসাড়ে শুক্রক্ষরণ।

স্ত্রীজননেন্দ্রিয়: জননেন্দ্রিয় বাহিরের অংশ চুলকায়। যোনিপথে জ্বালা। ঋতুস্রাব অতি বিলম্বিত, ক্ষনস্থায়ী, পরিমানে অল্প এবং কষ্টকর। ঋতুস্রাবের পূর্বে শিরঃপীড়া অথবা ঋতুস্রাব হঠাৎ বন্ধ হইয়া যায়। স্থনের বোটা পাটাযুক্ত ও জ্বলে।

প্রস্রাব: বারবার প্রস্রাব করিতে থাকে, বিশেষতঃ রাত্রিতে। আসাড়ে মূত্রনির্গমন, গন্ডমালাধাতুগ্রস্ত, অপরিচ্ছন্ন শিশুদের। প্রসাবকালে মূত্রনলীতে জ্বালা, প্রস্রাবের পর এই জ্বালা বহুক্ষণ স্থায়ী থাকে। 

শূন্যবোধ: মাথা, বুক, পেটে-সর্বত্র শূন্যবোধ বা খালি মনে হওয়া।

বৃদ্ধি: নিস্পেষণে, স্পর্শে, সঞ্চালনে, জলীয়-বায়ুতে, উত্তাপে, স্নানে, শীতল পানে (পিপাসায়) দুগ্ধ পানে, ঋতুকালে ও মধ্য রাত্রিতে। বেলা ১০/১১টায় ভয়ানক রাক্ষুষে ক্ষুধা।

উপশম: শুষ্ক বায়ুতে, দক্ষিণ পার্শ্বে শুইলে, শীতল জল প্রয়োগে।

অনুপূরক: এলো ও সোরিনামের সহিত সালফারের অনুপূরুক।

সালফারের পূর্বে নহে পরে ক্যালকেরিয়া উপকারি। লাইকোর পর সালফার

পরবর্ত্তী ঔষধ: এলিউর্মি, এপিস, বেল, ব্রায়ো, বোরাক্স, ক্যালকে, কার্ব্বো, গ্রাফা, গুয়েকাম, স্যাম্বুকাস, ফসফরাস, পডোপাইলম, রস।

ক্রিয়ানাশক: একোনাইট, ক্যাম্ফার, আর্সে, ক্যামো, চায়না, কোনি, কষ্টিকাম, নাক্স, মার্ক, পলস, রাস, সিলি। সালফারের পরে লাইকোপোডিয়ম নিষিদ্ধ।

সাবধান:

  • এই ঔষধ পুনঃপুন প্রয়োগ করিতে নাই।
  • টাইফয়েড.নিউমোনিয়া.কিংবা অন্য সমস্ত পীড়ায় যেখানে রোগীর Vitality বা জীবনীশক্তি কিছু মাত্র নেই সেখানে সালফারের লক্ষণ থাকিলেও সালফারের উচ্চ শক্তি প্রয়োগ নিষিদ্ধ। কারণ ঔষধের ক্রিয়াজনিত বৃদ্ধির কারণে অনেক সময় রোগীর মৃত্য ঘটে।
  • চর্ম রোগে ৬-৩০ ভালো কাজ করে, উচ্চ শক্তি প্রয়োগে রোগ বৃদ্ধি পায়।


ক্রম: ৩০, ২০০ শ ও তদুর্দ্ধ শক্তি।